শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৩
রূপশালী (RUPSHALI)... : পরী ---------------চেনা তো হলনা তারে, ...
রূপশালী (RUPSHALI)... : পরী ---------------
চেনা তো হলনা তারে, ...: পরী --------------- চেনা তো হলনা তারে, যখন ওগো আগুন ছিল চোখে, জানালায় নীল নীলিমা ফুল ছ...
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৩
আজকের কবিতা
নেই
ঘরে তুমি নেই ।
কয়েকদিন এসেও ফিরে গেছি ।
তোমার মায়ের আঁচলে
নীল খাম ছিলোনা
টেলিফোন তার নেই জড়িয়ে রাখার মতন।
তুমি নেই...
চাঁদের দিকে চেয়ে থাকি অনেক রাত
চাঁদে তুমি নেই
তারায় তুমি নেই
গাছের পাতায় হাত রেখে দেখি
তোমার রঙ নেই ।
হাসপাতালে রুগী নেই একজনও, থানায় কলম নেই অভিযোগের খাতা শূন্য
গরাদ দাঁড়িয়ে থাকে
দাঁত বের করে
আমি কি ভুতে ভয় পাই !
শূন্যতা আমাকে ডরায় ।
মাদুলি পরিনি বুকে।
ঘড়িতে রাত দশটা কখন পেরিয়ে গেছে।
আজ পূর্ণিমা ছিলোনা
বিছানায় জুঁইফুল নেই...,
জেগে থাকলাম ।
তুমি নেই
অন্ধকার জানালার শিকে
প্রতীক্ষার চোখ ,
কাটা ঘুড়ির মতন নীরব আকাশে।
আগুন জ্বলছে চান ঘরের রাস্তায় ,
তারপর ছাই উড়িয়ে দেখেছি !
...নেই ।
আমার পার্শে জমা শব্দগুলো
জিভ রাখে চামড়ায়
আয়নায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখি ঠোঁটে
গোলাপ নেই ।
শুধু কাঁটায় রক্ত ঝরে
আঙ্গুলে আঙ্গুলে উঠে আসে
বন্যায় ভেসে যাওয়া গানগুলো ।
সারা দেহে নীল ছড়াতে থাকে দখিনের
পোড়া বাতাস
ধোঁওয়ায় তুমি নেই
বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৩
শিতি
-বিষ্ণু চরণ পাল
ঠোঁটে নীল মেখে
এগিয়ে এসেছে আজ।
রক্তস্রোতে ডিঙি বেয়ে
এলো অভাবী রাত।
একটা ইঙ্গিত দিতে; ছুটে যেতাম নাহয়!
তারপর কানাকানি, রাতমিছিল নির্বিঘ্নে;
অনুশাসন চুলোয় যাক।
তবু যে নীল ছড়িয়ে থাকতো,
উঠোন জুড়ে বেনামী ছোঁয়া।
তার চেয়ে এই ভালো-
তারাগুলো দেখে যাক
নীলঠোঁট ঠোঁট নীল হওয়া।
তারপর অশরীর জুড়ে
বোবা কালো রাত আর দুঃস্বপ্ন।
এইটুকু তো বেঁচে নিতে দাও !
-বিষ্ণু চরণ পাল
ঠোঁটে নীল মেখে
এগিয়ে এসেছে আজ।
রক্তস্রোতে ডিঙি বেয়ে
এলো অভাবী রাত।
একটা ইঙ্গিত দিতে; ছুটে যেতাম নাহয়!
তারপর কানাকানি, রাতমিছিল নির্বিঘ্নে;
অনুশাসন চুলোয় যাক।
তবু যে নীল ছড়িয়ে থাকতো,
উঠোন জুড়ে বেনামী ছোঁয়া।
তার চেয়ে এই ভালো-
তারাগুলো দেখে যাক
নীলঠোঁট ঠোঁট নীল হওয়া।
তারপর অশরীর জুড়ে
বোবা কালো রাত আর দুঃস্বপ্ন।
এইটুকু তো বেঁচে নিতে দাও !
বাঘ
-জয়ন্ত দাস
যেখানে যেখানে আমি খুঁজেছি অমৃত
সেখানেই অমৃতে বিষ মিশে আছে । বস্তুত-
বিষের পাত্রে আমি আছি।
আমার নীল বর্ন কন্ঠে, নীল বর্ন শরীরে তবুও-
রেখেছে বাঘ -
তার হিংশ্র হাত ।
-জয়ন্ত দাস
যেখানে যেখানে আমি খুঁজেছি অমৃত
সেখানেই অমৃতে বিষ মিশে আছে । বস্তুত-
বিষের পাত্রে আমি আছি।
আমার নীল বর্ন কন্ঠে, নীল বর্ন শরীরে তবুও-
রেখেছে বাঘ -
তার হিংশ্র হাত ।
মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩
ক্ষেপচুরিয়ানস্: কবিতা - তৈমুর খান
ক্ষেপচুরিয়ানস্: কবিতা - তৈমুর খান: কথা না-রাখার সিলেবাস তৈমুর খান কোথায় লুকিয়েছিলি ? কেউ কথা রাখেনি নরম ফাগুন মাসে বিলিকাটা চুলে মেদুর বাতাস গেল শুধু ঢ...
ক্ষেপচুরিয়ানস্: অনুজ দৃষ্টিতে শঙ্খ-কাব্য - মিলন
ক্ষেপচুরিয়ানস্: অনুজ দৃষ্টিতে শঙ্খ-কাব্য - মিলন: অনুজ দৃষ্টিতে শ ঙ্ খ-কাব্য মিলন চট্টোপাধ্যায় শঙ্খ ঘোষ -- এক অবিসংবাদী প্রতিবাদের নাম । যার লেখা নিয়ে বলার মত যোগ্যতাই আমার নেই । তবুও...
ক্ষেপচুরিয়ানস্: শতবর্ষে দিনেশ দাস - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
ক্ষেপচুরিয়ানস্: শতবর্ষে দিনেশ দাস - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়: শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলী দিনেশ দাস’এর কবিতা : সময়ের দলিল ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ১৯২১এ ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি প্রকাশিত হবার পর কাজী নজ...
ক্ষেপচুরিয়ানস্: কবিতা - পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত
ক্ষেপচুরিয়ানস্: কবিতা - পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত: অলীক-মাধুরী - ১৪ পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত ভাসিয়ে দিলাম বিচ্ছুরণের রামধনু রঙ পরের অধীন এত প্রেম কেন চুপিসাড়ে আসে পরের গোধুলি তওবা তওবা ...
সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
কবিতার মেঠোপথ
উৎসব তোমার-আমার
.........................................................
যখন ঘুম ভাঙ্গল, রক্ত নদী উদ্বেলিত
শাল পিয়ালের তরু ছায়,
আত্মীয়রা কবে চলে গেছে প্রভাতেই,
তমসা খালি খেলা করে প্রতিমার গায় ।
সাবেকি প্যান্ডেল ভর্তি-
বালিকার ভুলে ভরা কাঁচা ফ্রক,
আর আনকোরা যত রাখালের মাঝে আজও
আছে ভালোলাগা দুটো কালো চোখ !
বুঝি ঝুম ঝুম চেনা মেঘ এসেছিল
হুড-খোলা অটো রিক্সায় !
সেদিন মাধবির ডালে ডালে,
মালঞ্চ ফুটে ছিল বুঝি তিমির শুদ্ধতায় !
মনের গহীনে আজ ডানাকাটা রাত ঝাপটায়
হিম চেতনার বন ছায়,
বালি ঘর ভাঙ্গে বারে বারে সজ্জিত লাল ঢেউ ,
উঠন্ত ঊষার ঊর্মিমালায় !
হু হু বুকে থমকে দাঁড়ায়
স্মৃতি মাখা কালো মেঘ শত,
অভিমানিনী এসে ফিরে যায়
অতিথি প্রহর যত।
হাত ছুঁয়ে নীল হয় সময়ের নীল ঠোঁট
আমিও রাঙাই নীলে আমার শহর !
গিটারের পাঠ শেষে ভেঙ্গে ফেলি ঘর
যন্ত্রণার ফুলে ভরা শ্যামলী গুলমোহর।
ঝাঁকে ঝাঁকে বাঁশি ঐ দূরে...
অস্থির হয়ে কাকে জেনো ডাকে,
নিঝুম চোখের পাতা পলকে পালক,
বদলে যায় খোলা চুল বড় রাস্তার বাঁকে।
বাসি রুটির গন্ধে ক্ষুধাতুর আমি
শুয়ে থাকি আজ বিষাদের বালুচরে,
আমার ঠিকানা হারিয়েছে কবে
সহস্র কবিতার ভিড়ে।
বন পলাশ, হিসেব দেবে কি তার!
কত পাতা ঝরে প্রেমে ও প্রতিদানে!
কতো চিঠি ফিরে আসে শূন্যতায় ভরা
নিদারুণ অভিমানে ...?
তোমার রক্তগোলাপ বুকে বিঁধে আছে...
সে রক্তের স্বাদ তবু, শ্রাবণী বৃষ্টির মতো !
ভালবাসা লেন দেন নয়,
আমি তো শিখেছি প্রেম,মধুমাখা এক ক্ষত ।
সাজঘরে বহুদূরে উছল সে চোখে
সাঁঝ তারা ওঠে
চপল অরণ্য বাতায়নে আজও
বন্দর গড়ে ঠোঁটে।
চঞ্চল পায়ে পায়ে অস্থির পারাবার...
তবু নীলাকাশে বরযাত্রী আসে শিউলি তলায়,
বাতাসে তোমার সৌরভ গন্ধ-গোকুল এখনো
বাসর সাজায় আনত সে চোখে, তারায় তারায়।
মূর্তি থাকে অবয়ব অন্ধকারের নিশা,
সুজন হীন পথ মোর হারিয়েছে দিশা,
সুর সব মুছে যায় মরুভূমি ধু ধু ,
তবুও উৎসব থাকে সঙ্গোপনে,তোমার-আমার শুধু।
.........................................................
যখন ঘুম ভাঙ্গল, রক্ত নদী উদ্বেলিত
শাল পিয়ালের তরু ছায়,
আত্মীয়রা কবে চলে গেছে প্রভাতেই,
তমসা খালি খেলা করে প্রতিমার গায় ।
সাবেকি প্যান্ডেল ভর্তি-
বালিকার ভুলে ভরা কাঁচা ফ্রক,
আর আনকোরা যত রাখালের মাঝে আজও
আছে ভালোলাগা দুটো কালো চোখ !
বুঝি ঝুম ঝুম চেনা মেঘ এসেছিল
হুড-খোলা অটো রিক্সায় !
সেদিন মাধবির ডালে ডালে,
মালঞ্চ ফুটে ছিল বুঝি তিমির শুদ্ধতায় !
মনের গহীনে আজ ডানাকাটা রাত ঝাপটায়
হিম চেতনার বন ছায়,
বালি ঘর ভাঙ্গে বারে বারে সজ্জিত লাল ঢেউ ,
উঠন্ত ঊষার ঊর্মিমালায় !
হু হু বুকে থমকে দাঁড়ায়
স্মৃতি মাখা কালো মেঘ শত,
অভিমানিনী এসে ফিরে যায়
অতিথি প্রহর যত।
হাত ছুঁয়ে নীল হয় সময়ের নীল ঠোঁট
আমিও রাঙাই নীলে আমার শহর !
গিটারের পাঠ শেষে ভেঙ্গে ফেলি ঘর
যন্ত্রণার ফুলে ভরা শ্যামলী গুলমোহর।
ঝাঁকে ঝাঁকে বাঁশি ঐ দূরে...
অস্থির হয়ে কাকে জেনো ডাকে,
নিঝুম চোখের পাতা পলকে পালক,
বদলে যায় খোলা চুল বড় রাস্তার বাঁকে।
বাসি রুটির গন্ধে ক্ষুধাতুর আমি
শুয়ে থাকি আজ বিষাদের বালুচরে,
আমার ঠিকানা হারিয়েছে কবে
সহস্র কবিতার ভিড়ে।
বন পলাশ, হিসেব দেবে কি তার!
কত পাতা ঝরে প্রেমে ও প্রতিদানে!
কতো চিঠি ফিরে আসে শূন্যতায় ভরা
নিদারুণ অভিমানে ...?
তোমার রক্তগোলাপ বুকে বিঁধে আছে...
সে রক্তের স্বাদ তবু, শ্রাবণী বৃষ্টির মতো !
ভালবাসা লেন দেন নয়,
আমি তো শিখেছি প্রেম,মধুমাখা এক ক্ষত ।
সাজঘরে বহুদূরে উছল সে চোখে
সাঁঝ তারা ওঠে
চপল অরণ্য বাতায়নে আজও
বন্দর গড়ে ঠোঁটে।
চঞ্চল পায়ে পায়ে অস্থির পারাবার...
তবু নীলাকাশে বরযাত্রী আসে শিউলি তলায়,
বাতাসে তোমার সৌরভ গন্ধ-গোকুল এখনো
বাসর সাজায় আনত সে চোখে, তারায় তারায়।
মূর্তি থাকে অবয়ব অন্ধকারের নিশা,
সুজন হীন পথ মোর হারিয়েছে দিশা,
সুর সব মুছে যায় মরুভূমি ধু ধু ,
তবুও উৎসব থাকে সঙ্গোপনে,তোমার-আমার শুধু।
কবিতার মেঠোপথ
সকালটা আজ হলুদ ফুলের,
পাতা পাখি আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাশবালিশেও ফুল
আমার ভেতর পালিয়ে যাওয়ার রোদ বাঁশি
দেখ কলেজের গন্ধটা এখনো গায়ে
রিমঝিম
আমি উত্তম হব
তোমার হাতে ভাঙ্গা মন্দিরের উপাখ্যান
ঝুমকো লতা দুল
মেঘ করলেও ডাকে,
আমি ঠোঁটে নিয়ে যাই গুনগুন পিয়ালের
মর্মর গান ।
রোদবালক
মোরগঝুঁটি দেখে লাল টিলার ওপর
দাঁড়াই
তোমার সবুজ পাড়ের জামদানি
ভেঙ্গে দিল দুয়ার
নীল ঘর আমার
এখন আর পিছন ফিরে
দেখব না ...
কবিতার মেঠোপথ
পরী
---------------
চেনা তো হলনা তারে,
যখন ওগো আগুন ছিল চোখে,
জানালায় নীল নীলিমা
ফুল ছিল বৈশাখে।
মেষ-পালকের দলে,
যে মেঘ বাউল সুরে,
একলাটি যায় উড়ে,
সে পথ গেছি ভুলে।
তার সাথে মোর হয়নি দেখা,
ভাঙ্গা খেলার ঘরের দ্বারে,
আজও ভিখিরি আমি
ফিরেছি বারে বারে।
সুদূরের এক চাঁদ চাঁদ পানে চায় !
কুসুমের কোন পথ পারে,
ভাবি, কারে জেনো খোঁজে,
দেখেছ কি তুমি তারে ?
আমিও দেখিনি সে মুখ !
সে চাঁদে কার পায়ের চিহ্ন ?
খেয়াঘাটে বাঁধা তরী মোর তবু,
দুহাত আজিকে,স্বপন শূন্য ।।
+
---------------
চেনা তো হলনা তারে,
যখন ওগো আগুন ছিল চোখে,
জানালায় নীল নীলিমা
ফুল ছিল বৈশাখে।
মেষ-পালকের দলে,
যে মেঘ বাউল সুরে,
একলাটি যায় উড়ে,
সে পথ গেছি ভুলে।
তার সাথে মোর হয়নি দেখা,
ভাঙ্গা খেলার ঘরের দ্বারে,
আজও ভিখিরি আমি
ফিরেছি বারে বারে।
সুদূরের এক চাঁদ চাঁদ পানে চায় !
কুসুমের কোন পথ পারে,
ভাবি, কারে জেনো খোঁজে,
দেখেছ কি তুমি তারে ?
আমিও দেখিনি সে মুখ !
সে চাঁদে কার পায়ের চিহ্ন ?
খেয়াঘাটে বাঁধা তরী মোর তবু,
দুহাত আজিকে,স্বপন শূন্য ।।
+
কবিতার মেঠোপথ
হাতে হাতে উঠে এলো গনগনে ধান
নিংড়ানো আলো শিশ
পেঁচা চোখ আমাকে দেখে
বিবর্তনের কিনারে দাঁড়িয়ে
কারুকার্য হাতে বোলায়
আমার ঠোঁট রগড়ে দেয়
এমন করেই ময়না,
খাঁচায় পোরা হয়ে গেলে
ফসলের মাঠে মাঠে
লৌহদানবের বৃহৎ হুংকার
নিংড়ানো আলো শিশ
পেঁচা চোখ আমাকে দেখে
বিবর্তনের কিনারে দাঁড়িয়ে
কারুকার্য হাতে বোলায়
আমার ঠোঁট রগড়ে দেয়
এমন করেই ময়না,
খাঁচায় পোরা হয়ে গেলে
ফসলের মাঠে মাঠে
লৌহদানবের বৃহৎ হুংকার
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)