উৎসব তোমার-আমার
.........................................................
যখন ঘুম ভাঙ্গল, রক্ত নদী উদ্বেলিত
শাল পিয়ালের তরু ছায়,
আত্মীয়রা কবে চলে গেছে প্রভাতেই,
তমসা খালি খেলা করে প্রতিমার গায় ।
সাবেকি প্যান্ডেল ভর্তি-
বালিকার ভুলে ভরা কাঁচা ফ্রক,
আর আনকোরা যত রাখালের মাঝে আজও
আছে ভালোলাগা দুটো কালো চোখ !
বুঝি ঝুম ঝুম চেনা মেঘ এসেছিল
হুড-খোলা অটো রিক্সায় !
সেদিন মাধবির ডালে ডালে,
মালঞ্চ ফুটে ছিল বুঝি তিমির শুদ্ধতায় !
মনের গহীনে আজ ডানাকাটা রাত ঝাপটায়
হিম চেতনার বন ছায়,
বালি ঘর ভাঙ্গে বারে বারে সজ্জিত লাল ঢেউ ,
উঠন্ত ঊষার ঊর্মিমালায় !
হু হু বুকে থমকে দাঁড়ায়
স্মৃতি মাখা কালো মেঘ শত,
অভিমানিনী এসে ফিরে যায়
অতিথি প্রহর যত।
হাত ছুঁয়ে নীল হয় সময়ের নীল ঠোঁট
আমিও রাঙাই নীলে আমার শহর !
গিটারের পাঠ শেষে ভেঙ্গে ফেলি ঘর
যন্ত্রণার ফুলে ভরা শ্যামলী গুলমোহর।
ঝাঁকে ঝাঁকে বাঁশি ঐ দূরে...
অস্থির হয়ে কাকে জেনো ডাকে,
নিঝুম চোখের পাতা পলকে পালক,
বদলে যায় খোলা চুল বড় রাস্তার বাঁকে।
বাসি রুটির গন্ধে ক্ষুধাতুর আমি
শুয়ে থাকি আজ বিষাদের বালুচরে,
আমার ঠিকানা হারিয়েছে কবে
সহস্র কবিতার ভিড়ে।
বন পলাশ, হিসেব দেবে কি তার!
কত পাতা ঝরে প্রেমে ও প্রতিদানে!
কতো চিঠি ফিরে আসে শূন্যতায় ভরা
নিদারুণ অভিমানে ...?
তোমার রক্তগোলাপ বুকে বিঁধে আছে...
সে রক্তের স্বাদ তবু, শ্রাবণী বৃষ্টির মতো !
ভালবাসা লেন দেন নয়,
আমি তো শিখেছি প্রেম,মধুমাখা এক ক্ষত ।
সাজঘরে বহুদূরে উছল সে চোখে
সাঁঝ তারা ওঠে
চপল অরণ্য বাতায়নে আজও
বন্দর গড়ে ঠোঁটে।
চঞ্চল পায়ে পায়ে অস্থির পারাবার...
তবু নীলাকাশে বরযাত্রী আসে শিউলি তলায়,
বাতাসে তোমার সৌরভ গন্ধ-গোকুল এখনো
বাসর সাজায় আনত সে চোখে, তারায় তারায়।
মূর্তি থাকে অবয়ব অন্ধকারের নিশা,
সুজন হীন পথ মোর হারিয়েছে দিশা,
সুর সব মুছে যায় মরুভূমি ধু ধু ,
তবুও উৎসব থাকে সঙ্গোপনে,তোমার-আমার শুধু।
.........................................................
যখন ঘুম ভাঙ্গল, রক্ত নদী উদ্বেলিত
শাল পিয়ালের তরু ছায়,
আত্মীয়রা কবে চলে গেছে প্রভাতেই,
তমসা খালি খেলা করে প্রতিমার গায় ।
সাবেকি প্যান্ডেল ভর্তি-
বালিকার ভুলে ভরা কাঁচা ফ্রক,
আর আনকোরা যত রাখালের মাঝে আজও
আছে ভালোলাগা দুটো কালো চোখ !
বুঝি ঝুম ঝুম চেনা মেঘ এসেছিল
হুড-খোলা অটো রিক্সায় !
সেদিন মাধবির ডালে ডালে,
মালঞ্চ ফুটে ছিল বুঝি তিমির শুদ্ধতায় !
মনের গহীনে আজ ডানাকাটা রাত ঝাপটায়
হিম চেতনার বন ছায়,
বালি ঘর ভাঙ্গে বারে বারে সজ্জিত লাল ঢেউ ,
উঠন্ত ঊষার ঊর্মিমালায় !
হু হু বুকে থমকে দাঁড়ায়
স্মৃতি মাখা কালো মেঘ শত,
অভিমানিনী এসে ফিরে যায়
অতিথি প্রহর যত।
হাত ছুঁয়ে নীল হয় সময়ের নীল ঠোঁট
আমিও রাঙাই নীলে আমার শহর !
গিটারের পাঠ শেষে ভেঙ্গে ফেলি ঘর
যন্ত্রণার ফুলে ভরা শ্যামলী গুলমোহর।
ঝাঁকে ঝাঁকে বাঁশি ঐ দূরে...
অস্থির হয়ে কাকে জেনো ডাকে,
নিঝুম চোখের পাতা পলকে পালক,
বদলে যায় খোলা চুল বড় রাস্তার বাঁকে।
বাসি রুটির গন্ধে ক্ষুধাতুর আমি
শুয়ে থাকি আজ বিষাদের বালুচরে,
আমার ঠিকানা হারিয়েছে কবে
সহস্র কবিতার ভিড়ে।
বন পলাশ, হিসেব দেবে কি তার!
কত পাতা ঝরে প্রেমে ও প্রতিদানে!
কতো চিঠি ফিরে আসে শূন্যতায় ভরা
নিদারুণ অভিমানে ...?
তোমার রক্তগোলাপ বুকে বিঁধে আছে...
সে রক্তের স্বাদ তবু, শ্রাবণী বৃষ্টির মতো !
ভালবাসা লেন দেন নয়,
আমি তো শিখেছি প্রেম,মধুমাখা এক ক্ষত ।
সাজঘরে বহুদূরে উছল সে চোখে
সাঁঝ তারা ওঠে
চপল অরণ্য বাতায়নে আজও
বন্দর গড়ে ঠোঁটে।
চঞ্চল পায়ে পায়ে অস্থির পারাবার...
তবু নীলাকাশে বরযাত্রী আসে শিউলি তলায়,
বাতাসে তোমার সৌরভ গন্ধ-গোকুল এখনো
বাসর সাজায় আনত সে চোখে, তারায় তারায়।
মূর্তি থাকে অবয়ব অন্ধকারের নিশা,
সুজন হীন পথ মোর হারিয়েছে দিশা,
সুর সব মুছে যায় মরুভূমি ধু ধু ,
তবুও উৎসব থাকে সঙ্গোপনে,তোমার-আমার শুধু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন