সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কবিতার মেঠোপথ

     উৎসব তোমার-আমার
.........................................................

যখন ঘুম ভাঙ্গল, রক্ত নদী উদ্বেলিত 
শাল পিয়ালের তরু ছায়,
আত্মীয়রা কবে চলে গেছে প্রভাতেই,
তমসা খালি খেলা করে প্রতিমার গায় ।

সাবেকি প্যান্ডেল ভর্তি-
বালিকার ভুলে ভরা কাঁচা ফ্রক,
আর আনকোরা যত রাখালের মাঝে আজও 
আছে ভালোলাগা দুটো কালো চোখ !

বুঝি ঝুম ঝুম চেনা মেঘ এসেছিল 
হুড-খোলা অটো রিক্সায় !
সেদিন মাধবির ডালে ডালে,
মালঞ্চ ফুটে ছিল বুঝি তিমির শুদ্ধতায় !

মনের গহীনে আজ ডানাকাটা রাত ঝাপটায়
হিম চেতনার বন ছায়,
বালি ঘর ভাঙ্গে বারে বারে সজ্জিত লাল ঢেউ ,
উঠন্ত ঊষার ঊর্মিমালায় !

হু হু বুকে থমকে দাঁড়ায় 
স্মৃতি মাখা কালো মেঘ শত,
অভিমানিনী এসে ফিরে যায়
অতিথি প্রহর যত।

হাত ছুঁয়ে নীল হয় সময়ের নীল ঠোঁট
আমিও রাঙাই নীলে আমার শহর !
গিটারের পাঠ শেষে ভেঙ্গে ফেলি ঘর
যন্ত্রণার ফুলে ভরা শ্যামলী গুলমোহর।

ঝাঁকে ঝাঁকে বাঁশি ঐ দূরে...
অস্থির হয়ে কাকে জেনো ডাকে,
নিঝুম চোখের পাতা পলকে পালক,
বদলে যায় খোলা চুল বড় রাস্তার  বাঁকে।

বাসি রুটির গন্ধে ক্ষুধাতুর আমি 
শুয়ে থাকি আজ বিষাদের বালুচরে,
আমার ঠিকানা হারিয়েছে কবে
সহস্র কবিতার  ভিড়ে।

বন পলাশ, হিসেব দেবে কি তার!
কত পাতা ঝরে প্রেমে ও প্রতিদানে!
কতো চিঠি ফিরে আসে শূন্যতায় ভরা
নিদারুণ অভিমানে ...?

তোমার রক্তগোলাপ বুকে বিঁধে আছে...
সে রক্তের স্বাদ তবু, শ্রাবণী বৃষ্টির মতো ! 
ভালবাসা লেন দেন নয়,
আমি তো শিখেছি প্রেম,মধুমাখা এক ক্ষত ।

সাজঘরে বহুদূরে উছল সে চোখে 
সাঁঝ তারা ওঠে
চপল অরণ্য বাতায়নে আজও
বন্দর গড়ে ঠোঁটে।

চঞ্চল পায়ে পায়ে অস্থির পারাবার...
তবু নীলাকাশে বরযাত্রী আসে শিউলি তলায়, 
বাতাসে তোমার সৌরভ গন্ধ-গোকুল এখনো 
বাসর সাজায় আনত সে চোখে, তারায় তারায়।

মূর্তি থাকে অবয়ব অন্ধকারের নিশা,
সুজন হীন পথ মোর হারিয়েছে দিশা, 
সুর সব মুছে যায় মরুভূমি ধু ধু ,
তবুও উৎসব থাকে সঙ্গোপনে,তোমার-আমার শুধু।

কবিতার মেঠোপথ

 সকালটা আজ হলুদ ফুলের,

পাতা পাখি আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাশবালিশেও ফুল

আমার ভেতর পালিয়ে যাওয়ার রোদ বাঁশি

দেখ কলেজের গন্ধটা এখনো গায়ে

রিমঝিম

আমি উত্তম হব

তোমার হাতে ভাঙ্গা মন্দিরের উপাখ্যান

ঝুমকো লতা দুল

মেঘ করলেও ডাকে,

আমি ঠোঁটে নিয়ে যাই গুনগুন পিয়ালের

মর্মর গান ।

রোদবালক

মোরগঝুঁটি দেখে লাল টিলার ওপর

দাঁড়াই

তোমার সবুজ পাড়ের জামদানি

ভেঙ্গে দিল দুয়ার

নীল ঘর আমার


এখন আর পিছন ফিরে

দেখব না ...

 

ফটোগ্রাফির মেঠোপথ...

আমাদের মেঠোপথ অনেকটা পথ পায়ে পায়ে পেরিয়ে এসেছে...আজ তার বয়স মাত্র সাত বছর...
ব্লগ বানিয়ে আরও মানুষের কাছে পত্রিকা খানি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস আজ থেকে শুরু হলও... পাশে থাকবেন , লেখা দেবেন,

কবিতার মেঠোপথ

      পরী
  ---------------

চেনা তো হলনা তারে,
      যখন ওগো আগুন ছিল চোখে,
          জানালায় নীল নীলিমা
               ফুল ছিল বৈশাখে।

মেষ-পালকের দলে,
    যে মেঘ বাউল সুরে,
       একলাটি যায় উড়ে,
        সে পথ গেছি ভুলে।

তার সাথে মোর হয়নি দেখা,
    ভাঙ্গা খেলার ঘরের দ্বারে,
     আজও ভিখিরি আমি
             ফিরেছি বারে বারে।

সুদূরের এক চাঁদ চাঁদ পানে চায় !
       কুসুমের কোন পথ পারে,        
       ভাবি, কারে জেনো খোঁজে,
             দেখেছ কি তুমি তারে ?
   
আমিও দেখিনি সে মুখ !
     সে চাঁদে কার পায়ের চিহ্ন ?
       খেয়াঘাটে বাঁধা তরী মোর তবু,    
         দুহাত আজিকে,স্বপন শূন্য ।।

 +

কবিতার মেঠোপথ

     হাতে হাতে উঠে এলো গনগনে ধান
নিংড়ানো আলো শিশ
পেঁচা চোখ আমাকে দেখে
বিবর্তনের কিনারে দাঁড়িয়ে
কারুকার্য হাতে বোলায়
আমার ঠোঁট রগড়ে দেয়

এমন করেই ময়না,
খাঁচায় পোরা হয়ে গেলে
ফসলের মাঠে মাঠে
লৌহদানবের বৃহৎ হুংকার